সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের উপর দমন পীড়ন এবং রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করায় ইরানের ধর্মীয় নেতা, সিনিয়র নেতাসহ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ২০ ব্যক্তি এবং একটি বস্তুর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার অভিযোগে আরও চার ব্যক্তির ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে সম্পদ জব্দ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং এর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইইউ বলেছে, মিডিয়াটি “ইরানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সহিংস প্রতিক্রিয়ার” মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে।

গত সেপ্টেম্বরে ধর্মীয় পোশাকের বিধান লঙ্ঘন করায় পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

ইরানে এ বিক্ষোভ এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে সব স্তরের মানুষ এতে অংশ নেয়। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠা করার পর এটি সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।

ইইউ’র বৈদেশিক নীতির প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, যুবতী নারীদের এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে আমাদের যা করণীয় আমরা তাই করব।

এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা বলেন, ইরান কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমাতে নারী, শিশুসহ শতশত মানুষকে খুন করেছে।

এছাড়া তারা একের পর এক বল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার কারণে সোমবার ইরানর প্রকাশে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।